মেঘের পর্বত, লেবুর শরবত
Posted on November 26, 2019 • 8 minutes • 1646 words
Table of contents
টুরের ২/৩ দিন আগে স্বর্গ আর আফনান তড়িঘড়ি করে টিকেট কেটে ব্যাপারটা প্রায় ফাইনালাইজড করে ফেলসে, শেষ মুহুর্তে এসে আমাদের ২৭ জনের দলে যোগ দিল রোমেল। দিন দেখতে দেখতে ২৫ নভেম্বর এসে পড়লো, রাত ১০.৩০ কি ১০.৪৫ এর বাস ছিল। বিকালের মধ্যে প্যাকিং সেরে রাত ৯ টায় বাইর হইলাম বাসা থেকে। কাউন্টারে সবার সাথে মিট করে, বুক আলিঙ্গন করে অপেক্ষা করতে থাকলাম বাসের জন্য।
বাস আসলো, উঠলাম, আসতে আসতে চিটাগং রোডের দিকে যাওয়া শুরু করল বাস। তখনই পড়লো কী এক ভীষণ জ্যামের মধ্যে। এর মাঝে আমার পাশের সিটে বসা সাইফুল মনে হয় এক চোট ঘুমায় নিল।
জ্যামের মধ্যে গল্প আর কতিপয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বিচিং করতে করতে আমরা আগাতে থাকলাম আমাদের লাস্ট ম্যান, ফাহিমকে বাসে তোলার উদ্দেশ্যে। সে বেচারা না জানি কতক্ষণ ধরে কাউন্টারে দাড়ায় ছিল। তো, সেই বিচিং পার্টটা খুবই মজার ছিল, কখনো ভুলবার নয়। গল্প করতে করতে কোন একসময় আমি ঘুমায় পড়লাম, আমার খেয়াল ছিল না।
২৬ নভেম্বর, ২০১৯
বান্দরবান শহর, বান্দরবান
ভোরবেলায় ঘুম ভাঙল ঠাণ্ডায়, জ্যাকেট ব্যাগের ভেতর। বাইর করার ইচ্ছা হয় নাই দেখে আর গায়েও দিলাম না। একসময় পৌছায় গেলাম বান্দরবান শহরে। বাস থেকে নেমে প্রথমেই গায়ে জ্যাকেট জড়ায়ে চাঁদের গাড়িতে উঠলাম। হেলতে দুলতে, গায়ে বাতাস লাগাতে লাগাতে গেলাম এক নিকটবর্তী হোটেল, সকালের নাস্তা খাইতে। নাস্তা শেষে গেলাম মেঘলা ইকো পার্কে, সকাল কাটাতে। সেখানে ঘুরলাম, ক্যাবল কারে চড়লাম, ভিডিও শ্যুট করলাম।
তারপর রওনা হইলাম রুমার দিকে। পাহাড়ি রাস্তায় করে চাঁদের গাড়ি চলতেসে আর আমরা গান গাইতেসি। গাইতে গাইতে এক সময়ে রুমি পৌছাইলাম, রুমাতে আমাদের গাইড ঋত্বিক ভাই আর প্রকাশ দার সাথে দেখা হইলো। রুমায় দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলাম, কিছু কাগজপত্রে সাইন করলাম। তারপর বাইর হইলে এই ছোট শহরটা ঘুরে দেখতে। বেশি কিছু দেখার নাই, এক্সসেপ্ট ফর দ্যা আর্মি ক্যাম্প এন্ড পাবলিক টয়লেট, অবস্থা যথেষ্ট ভাল ছিল।
তারপর বাজারে ঢুকে খোঁজ লাগাইলাম মুরগির। আজকে রাতে আমাদের বার-বি-কিউ এর প্ল্যান, সেই খাওয়া দাওয়া করা হবে। তাই ঢাকা থেকে মসলাপাতি কিনে নিসিল ফাহিম, স্বর্গ এরা। বাজারে গুনে গুনে ৯ টা মুরগি কিনলাম, তারপর ফাহিমকে ডাকায় আনলাম জবাই দেয়ার জন্য। যে ফাহিম বাসায় কখনো মুরগি জবাই দেয় নাই, তাকে দিয়ে পর পর এত গুলা মুরগি জবাই দেয়াইলাম।
নিকটস্থ এক দোকান থেকে ট্রেকিং এর স্যান্ডেল কিনে দৌড় দিলাম আর্মি ক্যাম্পে, কাগজপত্রে সাইন করতে। সাইন শেষে আবার চাঁদের গাড়িতে করে চললাম বগালেকের উদ্দেশ্যে। যাত্রাপথে আরো ২ জায়গায় নেমে কাগজে সাইন করতে পথে চলতে থাকলাম। এক সময় উচু রাস্তার শুরু হলো, উচু নিচু রাস্তায় চাঁদের গাড়িতে করে চলার সময় ভালোই একটা থ্রিল পাচ্ছিলাম। বগালেকের পৌছাবার শেষ মুহুর্তে মাইশা একটা চিৎকার দিসে আর ঠিক সেই মুহুর্তে গাড়ির ড্রাইভার মাইশাকে ধ্মক দিয়ে চুপ করায় দিসে xD
বগালেক নাম শুনে যা ভাবসিলাম, লেকটা তেমন আকর্ষনীয় না, জায়গাটা চমৎকার বটে। বগালেকে পৌছায় গোসল করলাম খোলা আকাশের নিচে, কটেজের পাশে। গোসল শেষে কটেজে ঢুকে কিছুক্ষণ জিরিয়ে ক্যাম্পে গেলাম, ইন্সট্রাকশন শুনে হাটা দিলাম আশে পাশে এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যে নেমে এল, আর মাথার উপরের আকাশ ভরে গেল এক গুচ্ছ তারকারাজি দ্বারা। রাতে ক্যাম্প ফায়ার জ্বালানোর পর সবাই সেইখানে জড়ো হয়ে আড্ডা দিলাম, ক্যাম্প ফায়ারের আগুন জ্বলে কয়লা হয়ে যাওয়ার পর সেটায় বার-বি-কিউ করা হল। এর পিছনে ফাহিম আর মাইশার অবদান ভুলবার নয়।
রাতে আঁধারে আর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে কটেজে ফিরে গেলাম, কার্ডস আর উয়ার উলফ খেলে এক সময় ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম, কালকে কেওক্রাডং এ উঠতে হবে তাই এনার্জি দরকার। বিছানাটা ভালোই, আরামের ছিল- সেখানে শুয়ে পাশের রুমের মানুষজনের সাথে তর্ক যুদ্ধে লিপ্ত হলাম। কৌশিক আর ইমন কিছু একটা করছিল যার কারণে নাকি ঐ রুমের বাকিদের ঘুম হচ্ছিলো না। স্পেশালি, ফাহিমকে নাকি রাতে ঘুমাতে দিচ্ছিল না ইমন। ইমনের ব্যাপারতা বলে রাখি, আমাদের বস জনির ভয়েই ইমন আর তার গ্রুপ অন্য ঘরে শোবার প্ল্যান করেছিল। আরেকরুমের ব্যক্তিবর্গ বেশ মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনছিলেন। আমাদের তর্ক যুদ্ধ শেষ হবার পর তাদের রুম থেকে আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। এরকম করতে করতে একসময় ঘুমায় পড়লাম।
২৭শে নভেম্বর, ২০১৯
বগালেক, বান্দরবান
সকালে উঠতে বাকিদের তুলনায় দেরি হয়ে গেসে। কম্বল মুড়ি দিয়ে আসতে ধীরে উঠে গেলাম পানির হাউসের সামনে, মুখ হাত ধুয়ে রেডি হয়ে চললাম আর্মি ক্যাম্পে। সেখানে পেপার ওয়ার্ক সেরে, আর তাহমিদ তারেকের আয়োজিত সকালের নাস্তা খেয়ে শরীর গরম করে নিলাম। দেখা হইলো ডিপার্ট্মেন্টের ১৮ ব্যাচের পোলাপানের সাথে। ওদেরও সেইম প্ল্যান, আমাদের সাথে টাইমিংও ম্যাচ হয়ে গেসে। বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা ঋত্বিক ভাইয়ের পেছনে লাঠি ধরে চললাম কেওক্রাডং জয় করতে।
অনেক বাধা প্রতিকূলতা পার করে, নানাভাবে মজা করে পার হইলাম বেশ কিছু পাহারী গ্রাম। দেখতেই এক আলাদা রকম ভালো লাগা কাজ করে। বিশেষ করে আমি ফার ক্রাই এর মত একটা ফিল পাচ্ছিলাম। মাঝখানে চিংড়ি ঝর্ণায় আমরা নামলাম, ভিজলাম আর ফুর্তি করলাম। যে জিনিসটা না বললেই নয়, তা হল- ফাহিম ঝর্ণায় দৌড় দিতে গিয়ে ৪/৫ বারের মত আছাড় খাইসে (আমি খাইসি মাত্র ১ বার :3) সেটা আবার ও বেশ গর্ব করে বলে বেড়াইতেসে সবাইকে। ঝর্নায় ছবি তুলতে গিয়ে খেয়াল করলাম আমার সানগ্লাস হাওয়া, খুজে পাচ্ছি না, তার মানে হারায় গেসে। জাবেরকে বলার পর ঐ পরক্ষনেই বলল- দেখ ভাই, আমি কিছু করি নাই xD
ঝর্নায় বেশ কিছু ছবি তুলে সেই ভেজা কাপড়ে জ্যাকেট চড়িয়ে আবার কন্টিনিউ করলাম যাত্রা। মাঝপথে কোথাও জিরিয়ে, পাহাড়ি কলা, পেঁপে অথবা লেবুর শরবত খেয়ে এনার্জি জোগালাম। যাত্রাপথ যখন প্রায় কাছে, তখন দার্জিলিং পাড়ায় এসে আমরা বেশ কিছুক্ষনের জন্য রেস্ট নিলাম। রেস্ট নেয়া শেষ, তাই আর কী করবো- আমি, জনি আর ফাহিম লেগে গেলাম বাশ হাতে নিয়ে যুদ্ধ করতে। যুদ্ধ শেষ করে, দোকানের খরচের হিসাব চুকিয়ে যাত্রায় ফিরে আসলাম। দেখতে দেখতেই বিকেলের আগে কেওক্রাডং এর চূড়ায় উঠে গেলাম।
কটেজে ব্যাগ রেখে গেলাম গোসল করতে। খোলা আকাশের নিচে Me and the boys সবাই গোসল কার্যে অংশগ্রহণ করলাম। ক্যান জানি এই ঘটনা বেশ ভালো লাগসে। বাচ্চাকালের মত একজন আরেকজনের দিকে পানি মেরে, ভিজিয়ে একত্রে গোসল করলাম। বলে রাখা ভালো, কিছু নারী আমাদের দিকে তখন কু-নজর দিচ্ছিলেন যা ফাহিমের মোটেও ভালো লাগেনি। গোসল শেষে সবাই গেলাম বং রাজার রেস্টুরেন্টে, গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম- ডাল, ভাত আর ডিমের তরকারি দিয়ে। ক্ষুধার চোটে খাবার বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছিল। খাওয়া শেষে আমরা হেলিপ্যাডে উঠলাম, ছবি তুললাম, তখন এক আর্মি অফিসার এসে আমাদের কিছু নির্দেশাবলী জানিয়ে দিলেন এবং আমাদের এই ভ্রমনের প্রতি শুভেচ্ছা জানালেন।
হেলিপ্যাডে সন্ধ্যার পর থাকার নিয়ম নেই, তাই আমরা কেও ক্রাডং এর হায়েস্ট পয়েন্টে গেলাম, আর সারা সন্ধ্যা সেখানে সূর্যাস্ত আর তারা দেখে কাটালাম। ইরশাদের সাথে শুয়ে চিত হয়ে তারা দেখতে দেখতে একসময় যেন হিপনোটাইজড হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। ১৫-২০ মিনিটের ঘুমের পর উঠে বাকিদের সাথে খাজুরা আলাপে যোগদান করলাম। বিচিং চললো বেশ কিছুক্ষণ, মজার কিছু কথা হইলো- বিশেষত টয়লেটের ওখানকার গুইসাপ নিয়ে যে নাকি ইমনকে দেখে দৌড়ে পালায় গেসে :3
কটেজে গিয়ে কার্ডস খেললাম আমরা। ব্লাফ যে একটা বাজে গেম, এইটা নিয়ে ইরশাদ অনেক্ষণ গাইলাইলো, বুঝ দিলো আমাদের। শেষ বারের মত উয়ারুলফ খেলে কিছুক্ষণ কটেজের পাশের বাইরের ফাকা স্থানে ছিলাম, গল্প করলাম। খাওয়া দাওয়া এবং গল্প শেষে আমার চশমাকে রেহাই দিয়ে ঘুমের রাজ্যে বিচরণ করলাম। আগে ঘুমানোর একটা উদ্দেশ্য ছিল যে, সকালে সূর্যোদয় দেখতেই হবে।
২৮শে নভেম্বর, ২০১৯
কেওক্রাডং চূড়া, বান্দরবান
খুব ভোরেই উঠে গেলাম, আমারও বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল যে দেরী করে ফেললাম নাকি। কারণ ঘুমটা বেশ আরামের হইসে। তাছাড়া ফাহিমের ফোনের কী এক এলার্ম তো বাজতেসিলোই। আমরা ২১ জন ছেলে এক রুমেই ছিলাম কেওক্রাডং এ, গনরুমের মত বেশ একটা ফিল পাওয়া গেসে। ঘুম থেকে উঠে চূড়ায় উঠলাম, অন্ধকারের মধ্যেই। সূর্য আসতে তখন আরো ৪৫ মিনিতের মত বাকি ছিল। চূড়ার উপরে কোনো এক ট্যাঙকের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলাম। শরীরে জ্যাকেট ছিল, তাই ঠান্ডা বেশি অনূভূত হয় নাই। অপেক্ষা করতে করতে একে একে সকলেই আসলো, এক সাথে সূর্যোদয় দেখলাম। ফ্রেশ হয়ে আমরা শেষ বারের মত হেলিপ্যাডে উঠে ছবি তুলে, টুকটাক কাজ সেরে চললাম নামার পথে।
৮.১৫ এর দিকে নামা শুরু করলাম। মাঝপথে দার্জিলিং পাড়ায় আইরিন আপার দোকানে ব্যাম্বু চিকেন খাইলাম ভাত আর আলুভর্তা দিয়ে। আমার কাছে জিনিসটা নরমাল মুরগির তরকারির মতই মনে হইলো। যাস্ট টুকরা গুলা খুব ছোট, যেন বাঁশে ভরে রান্না করা যায়। খাওয়া দাওয়া বেশি করি নাই, ট্যুরে গেলে এমনিতেই ক্ষুধা কমে যায়।
পথ চলতে চলতে এক সময় আমরা বগালেকে ফিরে আসলাম। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কিছু ভাই ব্রাদার লেকে নেমে গোসল করসে, আমি অবশ্য জানতাম না- নাহলে আমিও যোগ দিতাম। ব্যাগ গুছিয়ে- আরো ফর্মালিটিজ পূরণ করে গাড়িতে উঠলাম। বগালেককে বিদায় দেয়ার সময় এসে গেসে। যেভাবে এসেছিলাম, ঠিক সেভাবেই একের পর এক চেকপোস্ট পার করে, সাইন আউট করে রুমায় আসলাম। গাইড ভাইদের বিদায় জানিয়ে চললাম শহরের পথে। গাইড ঋত্বিক দা বললেন যে, সন্ধ্যার সময় উনি নাকি শহরের দিকে আসবেন- তখন দেখা করবেন।
গাড়ির পেছনে দাড়ায়ে অথবা বসে পার করলাম ২ দিন পুরনো রাস্তা, কিন্তু গন্তদ্য এবার শহরের দিকে। আসার সময় এমন এমন দৃশ্য দেখছিলাম আর ভাবছিলাম- ইশ! যদি গাড়ি থামায় ছবি তুলা যাইতো !
শহরে পৌছে প্রথমেই গেলাম স্বর্ণমন্দির দেখতে। দেখা শেষ করে চললাম নীলাচল পাহারে, সেখানে ঢুকেই দৌড় লাগালাম ওয়াচ টাওয়ারের দিকে, কেননা শেষ সূর্যাস্ত দেখবো। সূর্যাস্ত দেখলাম, নীলাচল পার্কে সন্ধ্যা কাটালাম, বেশ কিছু ছবি তুললাম। এমনকি বাচ্চাদের স্লিপিং স্লাইডে উঠলাম অনেকে, মজা করে। ট্যুরের শেষ মজা করে আমরা একসময় নীলাচলকেও বিদায় জানালাম।
খেতে আসলাম বান্দরবান শহরের তোজাহ রেস্টুরেন্টে। আইটেম হিসেবে নিলাম ঝিনুকের মাংস। ভাজ্ঞিস এই জিনিসটা নেয়ার ট্রাই করসিলাম ! নাহলে এর টেস্ট কখনোও বুঝে উঠে পারতাম না। মাংস বলতে গেলে নরমাল গরুর মগজের মাংসের মতই, যাস্ট কোনো আঁশ নেই, কোনো ভাঁজ নেই। মাংসে কোনো গন্ধও ছিল না, জিরার গুড়া মাংসে দেখার কারণে তা আরও ভালো লাগছিল। খাওয়া শেষে সবাই নিজ নিজ মত বাজারে ঘোরা শুরু করলাম। কেও দেখি আচার, লেবু, কলা কিনতেসে। পেঁয়াজের দাম কমই ছিল সেখানে, ভাবলাম কিনে নিয়ে যাই- পরক্ষণেই আর অলসতার জন্য কিনতে মন চাচ্ছিল না। কয়েক প্যাকেট আচার আর নিজের জন্য একটা গেঞ্জি কিনে আমরা চললাম ব্রিজের দিকে-ঋত্বিক ভাই বলে আসছেন, ভাবলাম দেখা করে আসি।
ঋত্বিক ভাইয়ের সাথে আলাপ করলাম অনেক কিছু নিয়ে। বুয়েটের অনেককেই নাকি তিনি চেনেন, এমনকি আমাদের ১৫ ব্যাচের সৌম্যদাও নাকি উনাকে চেনেন। পরে দাদাকে জিজ্ঞেস করসিলাম, উনিও আমাদের সাথে সহমত এই বাক্যে যে, ঋত্বিক ভাই আসলেই একজন জোস মানুষ। আমাদের বাসের টাইম এগিয়ে আসছিল, ঋত্বিক ভাই কোথায় ফোন লাগায়ে আমাদের জন্য চাঁদের গাড়ি এনে দিলেন- বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য। মানে, উনি যে কী জিনিস, তা বুঝানো যাবে না।
বাসস্ট্যান্ডে পৌছে আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই বাসে উঠলাম, আর বাসও চলা শুরু করলো। কিছুক্ষণ গ্রুপ মিটিং হইলো, তারপর ইরির সাথে জীবন, ফিলোসফি নিয়ে অল্প কিছুক্ষণ গ্যাজানোর পর ঘুমাইলাম। ঘুম থেকে উঠে চা খাইতে গেলাম কুমিল্লার কোন এক হোটেলে। খুবই বাজে একটা জায়গা, খাবার তো ভালই না বরং দাম আরো বেশি। সেখানে আমরা বালকরা কিছুক্ষণ শেষ মুহুর্তের স্যাড নিজ্ঞা আওয়ার পালন করলাম। সবাই এক বাক্যে সায় দিলাম যে, এটা এখনকার পর্যন্ত বেস্ট ট্যুর ❤